বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মা হারা এক কিশোরীকে অপহরণের পর তিন মাস আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় সহায়তাকারি এক নারীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ ও ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানা ওসি মোঃ আফজাল হোসেন জানান, উপজেলার রত্নপুর গ্রামের ধর্ষিতা কিশোরীর (১৫) মা মারা যাওয়ার পর ছোট বোন নিয়ে দাদার পরিবারে সে (কিশোরী) আশ্রিত ছিল। বাবা কর্মের সুবাদে ঢাকায় বাস করার সুবাদে দ্বিতীয় বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করছেন। সম্প্রতি সময়ে ওই কিশোরীর দাদা-দাদী মারা যাবার পর কিশোরী ও তার ছোট বোনকে একই বাড়ির সাহেদ শেখের স্ত্রী আকলিমা বেগম দেখা শোনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ওসি আরও জানান, আকলিমার নিকট আত্মীয় সহিদ শেখ ওরফে সুমনসহ (৪০) অন্যান্য স্বজনের যাতায়াতের সুবাদে আসামিদের সাথে ওই কিশোরীর পরিচয় ছিলো। সে সুবাদে গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় সহিদ শেখ মোবাইল ফোনে কিশোরিকে বাড়ির পাশের রাস্তার উপর তার সাথে দেখা করতে বলে। কিশোরী আত্মীয়তার সুবাদে সহিদ শেখের সাথে রাস্তায় দেখা করতে গেলে সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অবস্থান করা পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার মাটিভাঙ্গা গ্রামের সহিদ শেখ ওরফে সুমন, একই থানার মাহমুদকান্দি গ্রামের সরোয়ার ফরাজীর পুত্র রেজাউল ফরাজী, আকলিমা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জনে জোরকরে কিশোরীকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে করে পিরোজপুর নিয়ে সহিদ শেখ ওরফে সুমনের বাড়িতে কিশোরীকে আটক করে রাখে।
ধর্ষিতা কিশোরীর বরাত দিয়ে ওসি জানান, গত ১৭ মার্চ রাতে আটক কিশোরীকে সহিদ শেখ ওরফে সুমন জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর কিশোরীকে প্রায় তিন মাস তার বাড়িতে আটক করে রেখে সুমন অব্যাহতভাবে তাকে (কিশোরী) ধর্ষণ করে আসছিলো।
গত ১০ জুন কৌশলে ধর্ষিতা কিশোরী সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে আসে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে থানায় উপস্থিত হয়ে কিশোরী ঘটনার বর্ননা করে ধর্ষকসহ তার সহযোগি চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২ তাং ১৮/০৬/২০২০ইং।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তৈয়বুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর পরই বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে অপহরন ও ধর্ষণে সহায়তাকারী কিশোরীর আশ্রয়দাতা আকলিমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে বলেও তিনি (এসআই) উল্লেখ করেন।